অর্থ উপার্জন

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : কিভাবে করবেন?

সরকার ঘোষনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উতস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে। 
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।
প্রথমেই একটা কথা পরিস্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।
আউটসোর্সিং কি ?
এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানীর যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরী প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমান টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামুলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বড় কোম্পানীর বদলে ছোট কোম্পানী, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহি হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই।
কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্যযায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিস্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামুল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)।
তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরন, সময়, অর্থের পরিমান ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহি তাদের জন্য।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারনত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)।  যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথেসাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।
কাজের ধরন
একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানীর, অপরটি ছোট কোম্পানী কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মুলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানীর বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিস্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।
আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহন সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানীতে পরিনত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।
ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহি। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরী, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমান তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমান তত বেশি এই নিয়মে।
উদাহরন হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করে যে পরিমান অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরী করে পাবেন তারথেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
কি শিখতে হবে
কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদুর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল।  প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহি হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন।  এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ননার সাথে কোন সফটঅয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
কত আয় করা সম্ভব
বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘন্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়িদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে।
মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যিকাজের কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারনে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।
odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরন। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।
কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।


*** টাকা কিভাবে হাতে পাবেন

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব সবই আপনি করলেন। যা জানা প্রয়োজন জানলেন, টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগ নিলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আউটসোর্সিং  সাইটে গিয়ে কাজ নিলেন, সেটা করে জমাও দিলেন। এরপর আপনার হিসেবের পালা। আপনি টাকা পাবেন কিভাবে। এখানে যেহেতু আপনার সব ইচ্ছাই যথেষ্ট না সেহেতু আগেই হিসেব করে নেয়া ভাল।
আগে দেখে নেয়া যাক তারা দেয় কিভাবে।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড। তারা আপনার নামে টাকা জমা দিতে পারে সাথেসাথেই, আপনিও সাথেসাথেই সেটা পাবেন। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ কেনাকাটা থেকে শুরু করে ট্যাক্সিভাড়া পর্যন্ত দেয় ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে। কাজেই তারা এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে ক্রেডিট কার্ড নামের একটি বস্তু পকেটে নিয়ে বেড়াতে পারেন, টাকার বদলে সেটা দিতে পারেন না। সেটা থেকে টাকা বানিয়ে সেই টাকা নিয়ে দোকানে ঢুকতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে পে-পল এর মত অর্থ লেনদেনকারী প্রতিস্ঠানের সাহায্য নেয়। শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করে বিনামুল্যেই সেখানে একাউন্ট খোলা যায়। টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সেটা উঠিয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিও তুলনামুলক দ্রুতই।
বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে পে-পল ব্যবহারে সরকারের অনুমতি নেই। পে-পল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাম খুজে পাবেন না। এবিষয়ে সরকারের সর্বশেষ বক্তব্য, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আপনি এই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে অপেক্ষা করে জীবন পার করতে পারেন।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে অয়্যার ট্রান্সফার। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মত প্রতিস্ঠানের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করা যায়। এই পদ্ধতিও বেশ দ্রুত। তবে এজন্য টাকা দিতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে প্রচলিত ব্যাংক চেক গ্রহন করা। তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে আপনি সেই চেক ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবেন। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হয়, চেকের জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। আপনি যদি গুগলের কাছে টাকা পান তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে, ছোট প্রতিস্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাধারনত এই ঝামেলায় যাবে না। কাজেই আপনার সামনে সুযোগ খুব বেশি নেই।
এবারে দেখা যাক যারা ইতিমধ্যে কাজ করছেন তারা কি করেন।
কেউ কেউ অন্যের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। অর্থাত পরিচিত কারো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ থাকলে তার নাম্বার ব্যবহার করে সেখানে টাকা জমা করা। তাকে অবশ্যই এতটা বিশ্বস্ত হতে হয় যে টাকার হিসেবে গড়মিল করবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে উন্নত দেশগুলিতে সবধরনের লেনদেন যাচাই করা হয়। যদিও বিষয়টি অবৈধ পর্যায়ে যায় না তাহলেও অনেকেই ঝামেলায় যেতে চান না।
পে-পল ব্যবহার যেহেতু সহজ বলে অন্য দেশে করা পে-পল একাউন্ট ব্যবহার করেন কেউ কেউ। এখানেও সমস্যা একই। আপনার নিজেকেই বিদেশে একাউন্ট করতে হয় অথবা অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। পে-পলের নিয়ম অনুযায়ী একজনের একাউন্ট অন্যজন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারা জানলে একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
এলার্ট-পে আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যা খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। পিটিসি সাইট এবং এফিলিয়েশন এর পেমেন্ট সাধারনত এভাবে নেয়া যায়। ওডেস্ক,ফ্রিল্যান্সার, স্ক্রিপ্টল্যান্স এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। যেখানে এার্ট-পে ববহার করা যায় সেখানে এলার্ট পে ব্যবহার করুন। এখানে ক্লিক করে সদস্য হতে পারেন।
বাংলাদেশে যারা কাজ করেন তাদের প্রচলিত একটি পদ্ধতি হচ্ছে মানিবুকারস ব্যবহার করা। মানিবুকারস (www.moneybookers.com) পে-পলের মত একই ধরনের সেবা দেয়। তাদের সেবার মানও উন্নত (পে-পলের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ রয়েছে)। যেহেতু অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন সেহেতু এটাই ভালভাবে জেনে নিন।
আপনার প্রয়োজন স্থানীয় একটি ব্যাংক একাউন্ট। ব্যাংকের কাছে আগে জেনে নিন তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কি-না। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যায় এটুকু নিশ্চিত করতে পারি।
প্রয়োজন একটি ইমেইল এড্রেস।
এটুকুই। এরপর মানিবুকারস সাইটে গিয়ে নিজের তথ্য দিয়ে নামে একটি একাউন্ট খুলুন। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের জন্য সুইফট কোড নামে একটি কোড ব্যবহার করা হয়। ডাচবাংলা ব্যাংকের জন্য এই কোড DBBLBDDHঅন্য ব্যাংক হলে সেই ব্যাংকের কোড জেনে নিন। এই কোড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করুন।
মানিবুকারস এ একাউন্ট তৈরীর কোন খরচ নেই।
টাকা জমা হলে মানিবুকারস ওয়েব সাইটের উইথড্র থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে ঠিকানা/ব্যাংক ভেরিফাই করতে বলবে। সেটা করুন। অথবা, ভেরিফিকেশন ছাড়া ১৫ ডলার উঠানো যায়, কাজেই ১৫ ডলারের নিচে উঠান। তারা আপনার ব্যাংকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে।
আপনার ব্যাংকে এই তথ্য যেতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ব্যাংকে গিয়ে আপনার কোডটি নিন এবং মানিবুকারস এর সাইটে গিয়ে সেটা ব্যবহার করুন।
এরপর প্রতি ৯০ দিনে ২০০০ ডলারের বেশি পর্যন্ত গ্রহন করতে পারবেন এই একাউন্ট ব্যবহার করে। অর্থের পরিমান যাই হোক, মানিবুকারস প্রতি লেনদেনের জন্য ২.১৬ ডলার কেটে রাখবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে। এটা সামান্যই।

অর্থ গ্রহনের আরেকটি সহজ পথ হচ্ছে এলার্ট-পে। এখানে খুব সহজে একাউন্ট করা যায়, সেখানে টাকা জমা হলে ব্যাংক থেকে উঠানো যায় বা ইন্টারনেটে খরচ করা যায়।  একাউন্ট করার নিয়ম জেনে নিন এখানে

প্রতিকুলতা যতই থাক, কাজ করা সম্ভব। চাকরী বা ব্যবসার চিন্তা করে, অন্যের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট না করে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করুন। অনেকেই করছে।

***কিভাবে বেশি কাজ পাবেন

আউটসোর্সিং এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাইট ওডেস্ক এর সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান দেখুন,
গত ৯০ দিনে তাদের মাধ্যমে কাজ করে মানুষ আয় করেছে ৩ কোটি ৮১ লক্ষ ডলারের বেশি, কাজ জমা পরেছে ৩৬,২৪৩টি, প্রতিটি কাজের জন্য যোগাযোগ করেছে গড়ে ১১.৩ জন।
শেষ সংখ্যাটির দিকে বেশি গুরুত্ব দিন। আপনি সহ ১১ জন হলে বাকি ১০ জনকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলে আপনাকে কাজ পেতে হবে। কাজেই আপনাকে দেখাতে হবে আপনি অন্যদের থেকে যোগ্য। কিভাবে সেটা করা সম্ভব দেখে নেয়া যাক।
প্রথম কথা, অবশ্যই দক্ষতা বাড়ানো। যদি গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরা যায় তাহলে আপনার প্রয়োজন কাজ ঠিকভাবে করার যোগ্যতা অর্জন করা, ভাল ডিজাইনের বৈশিষ্ট বোঝা, যথেষ্ট পরিমান কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ডিজাইন এমনই একটি বিষয় যে সম্পর্কে প্রত্যেকেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। ফলে একজনের কাছে ভাল মনে হলেও আরেকজনের কাছে ভাল নাও মনে হতে পারে। অনেকেই ভুলে যান অধিকাংশ কাজ হয় ব্যাকরনের মত নিয়ম মেনে। রঙ, কম্পোজিশন, ফন্ট, বক্তব্য সবকিছু মিলিয়ে ভালো ডিজাইন। কখনো ভেবে দেখেছেন কি কোকাকোলা, মাইক্রোসফট এর মত বিশ্বের সেরা লোগোগুলি কত সাধারন। ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখুন, শুধুমাত্র লেখা দিয়ে তৈরী এই লোগোগুলি তাদের পরিচিতি সার্থকভাবে তুলে ধরে। কাজেই আপনাকে জটিল কিছু করতে হবে এটা ধরে নেবেন না।
মুলকথা হচ্ছে, ডিজাইন সম্পর্কি বহু বইপত্র পাওয়া যায়। সেখানে যে সুত্রগুলি দেয়া হয়েছে ভালভাবে রপ্ত করা।
ধরে নিচ্ছি আপনি সেটা করেছেন কিংবা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনার যোগ্যতা অন্যকে দেখাবেন কিভাবে যদি দেখানোর সুযোগ না পান। সে কথাগুলি উল্লেখ করার জন্যই এই লেখা।
আউটসোর্সিং সাইটগুলি বলে প্রথম কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। ওডেস্কের হিসেবে প্রথম কাজ পেতে আপনার ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চেষ্টা করতে হতে পারে। আরো ভাল ফল পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতিগুলি কাজে লাগান,
আপনার করা ভাল কাজগুলি আপনার প্রোফাইলে জমা রাখুন। সেগুলি দেখে যিনি কাজ দেবেন তিনি আপনার কাজ সম্পর্কে আগাম ধারনা পেতে পারেন।
এধরনের সাইটগুলিতে টেষ্ট দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলি দিন। এতে আপনার রেটিং বাড়বে ফলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
পেশাদারিত্বের পরিচয় দিন। যিনি কাজ দেবেন তার প্রথম লক্ষ্য কাজটি সময়মত হবে, দ্বিতীয়ত কাজটি ভালভাবে হবে, তৃতীয়ত কম টাকায় হবে। এর যে কোনটিতে গড়মিল হলে কাজ পাবেন না। আপনার দায়িত্ব তারকাছ থেকে তিনি ঠিক কি চান সেটা জেনে নিয়ে কাজ করা। এমনভাবে যোগাযোগ করা যেন তিনি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারেন। যে কাজ ভালভাবে করতে পারবেন না সেকাজে কখনো হাত দেবেন না। এতে নিজেরই ক্ষতি।
শুরুতেই অর্থকে গুরুত্ব দেবেন না। এধরনের সাইটে কাজ দুভাবে দেয়া হয়, কোনটিতে নির্দিষ্ট টাকার পরিমান উল্লেখ করা থাকে, কোনটিতে প্রতিযোগিতামুলক দাম উল্লেখ করে অন্যদের পেছনে ফেলতে হয়। সমস্যা হচ্ছে, আপনি যদি খুব কমদাম চেয়ে বসেন তারা ধরে নেবে আপনি কাজের যোগ্য নন। আর বেশি চাইলে খরচের কারনে কাজ দেবে না। শুরুতে নির্দিষ্ট খরচের কাজে হাত দেয়াই ভাল।
বেশি বেশি কাজের চেষ্টা করুন। যত বেশি চেষ্টা করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। সাধারনত বিনামুল্যে একাউন্ট করলে নিদিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংখক আবেদন করা যায়। কিছু ফি দিয়ে সদস্য হলে সেই সুযোগ বাড়ে। কাজ করার সিদ্ধান্তই যদি নিয়ে থাকেন তাহলে কিছু ফি নিয়ে সদস্য হোন। কোন কোন সাইটে পরীক্ষা দিয়ে ভাল করলে বেশি আবেদনের সুযোগ পাওয়া যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগান।
এধরনের সাইটে নানাধরনের পরামর্শ দেয়া হয়। ফোরামে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। যতটা সম্ভব এগুলি থেকে জানার চেষ্টা করুন।
যত দিন যাবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়তে থাকবে।

***গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি
ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে গুগলের তুলনা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিস্ঠান। ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের একটি অংশ এডসেন্স।
প্রথমেই প্রশ্ন করা স্বাভাবিক, এডসেন্স কি ? এককথায় এডসেন্স হচ্ছে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন রাখার জন্য গুগলের একটি পদ্ধতি। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিশ্চয়ই বিভিন্ন লিংক দেখেছেন যার পাশে Ads by Google লেখা।এগুলিই এডসেন্স বিজ্ঞাপন। আপনার ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য এডসেন্স এর রেজিষ্ট্রেশন করাই যথেষ্ট। এরপর ওয়েবপেজে কোন ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন সেই সাইটের মালিক হিসেবে আপনি টাকা পাবেন। প্রতি ক্লিকের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে শুরু করে কয়েক ডলার পর্যন্ত। মাসে আয় হতে পারে কয়েকশ ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার। ফল পাওয়া যায় সাথেসাথে।
এডসেন্স কিভাবে কাজ করে জানার জন্য আরো কিছু বিষয়ে ধারনা থাকা প্রয়োজন। যেমন গুগল এডওয়ার্ডস। কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি যদি গুগলকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে তাকে বলতে হয়, আমি অমুক বিজ্ঞাপন অত দিনের জন্য দিতে চাই, প্রতি ক্লিকের জন্য অত পরিমান টাকা দেব। তাদের সাথে গুগলের চুক্তি এটুকুই। এটাই এডওয়ার্ডস।
ধরুন কোন কোম্পানী তার পন্যের বিজ্ঞাপনের জন্য গুগলের সাথে যোগাযোগ করল মাসে ১০ হাজার ডলারের। প্রতি ক্লিকে তারা ১ ডলারের বেশি দেবে না।
গুগল তাদের বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়। আপনি এডসেন্সের সদস্য হলে আপনার ওয়েবসাইটেও সেটা পেতে পারেন। কেউ সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টে ১ ডলার হিসেব জমা হবে। আপনি যে কোন সময় আপনার হিসেব জানার সুযোগ পাবেন। মাসে একবার যদি বিল করতে চান তাহলে বিল করলে আপনার ঠিকানায় চেক পাঠাবে গুগল।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, যে কোম্পানীর এডসেন্স বিজ্ঞাপন সে জানে না তার বিজ্ঞাপন কোথায় দেখা যাবে। আপনিও কখনো নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ পাবেন না ঠিক কোন বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে পাবেন। যেহেতু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য মুল্য বিভিন্ন রকম, আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিক্লিকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থ পেতে পারেন। আপনার রিপোর্ট দেখে জানতে পারেন কোন ক্লিকের জন্য কত জমা হয়েছে। অভিজ্ঞতা বাড়লে কমটাকার ক্লিকের থেকে বেশিটাকার ক্লিকের বিজ্ঞাপনে বাছাইএর ব্যবস্থা করা যায়। তবে আগেই জানিয়ে রাখা ভাল, প্রতি ক্লিকে বেশি টাকা হলেই আপনি বেশি টাকা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ভিজিটর যদি বেশি টাকার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার চেয়ে কমটাকার লিংকে নিয়মিত ক্লিক করে তাহলে আপনার আয়ের সম্ভাবনা বেশি।
মুল বিষয় হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি, ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি। আয় তত বেশি।
কাজটি কিভাবে করা সম্ভব দেখা যাক। আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এখনও যদি না থাকে তাহলেও এই মুহুর্তেই সেটা শুরু করতে পারেন।
১. Blogger.com সাইটে গিয়ে একটি ব্লগ তৈরী করুন। কয়েকটি ক্লিক করাই যথেষ্ট। এজন্য আপনার একটি ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হবে।
২. পছন্দমত টেম্পলেট বাছাই করুন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নানাধরনের ব্লগার টেম্পলেট পাওয়া যায়। পছন্দমত কোন একটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। শুরুতেই করতে হবে এমন কথা নেই, যে কোন সময় টেম্পলেট পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বাড়ানো যাবে।
৩. ব্লগ পোষ্ট লিখতে শুরু করুন। কি নিয়ে লিখবেন ? আপনার যা ইচ্ছে। যদি গেম খেলতে ভালবাসেন গেমের রিভিউ লিখুন, মুভি দেখলে মুভির রিভিউ-খবর ইত্যাদি লিখুন। চারিদিকে লেখার মত বিষয়ের অভাব নেই।
৪. এডসেন্স একাউন্ট খুলুন। ব্লগার সাইটে এজন্য লিংক পাবেন। এখানে আপনার সাইটের ঠিকানা এবং পরিচিতি, আপনার ঠিকানা এসব তথ্য দিয়ে ফরম পুরন করতে হবে। এই ঠিকানায় আপনার নামে চেক পাঠানো হবে। আপনার সাইটে কোথায়, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে সেটা সিলেক্ট করলে তারাই বলে দেবে কিভাবে সেটা করতে হবে।
৫. বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে আপনার ব্লগের পরিচিতি লিখে দিন। ফলে সার্চ করে আপনার ব্লগ পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে প্রচার বাড়ান।
অল্পকথায় কাজ এটুকুই। এরপর একটু একটু করে আরো জানতে চেষ্টা করুন কিভাবে সাইটকে আরো উন্নত করা যায়, কিভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায়, বিজ্ঞাপন কিভাবে রাখলে বেশি আয় করা যায়। এখানে কিছু সাধারন তথ্য উল্লেখ করা হচ্ছে;
১. ক্লিক করলেই আয় হয় একথা ভেবে নিজেই বারবার ক্লিক করবেন না। গুগল খুব সহজেই আপনার ক্লিক এবং ভিজিটরের ক্লিক চিনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
২. বেশি ভিজিটর পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি ভাল ওয়েবসাইট তৈরী। অন্যভাবে, ভিজিটরের আগ্রহ থাকে এমন বিষয় রাখা। ভুলে যাবেন না গুগল মুলত সার্চ ইঞ্জিন। কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেশি, কোথায় কত ভিজিটর যায়, কতক্ষন থাকে, কি করে এসব তথ্য তাদের চেয়ে ভাল অন্য কেউ জানে না। তাদের ঠকাতে চেষ্টা করবেন না। সাইটের প্রচার এবং মুল সাইটের বিষয়ের মধ্যে গড়মিল করবেন না।
৩. আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন পাবেন সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে। যেমন বইয়ের সাইট হলে বিভিন্ন প্রকাশক, বই বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন, ফটোগ্রাফি সাইট হলে ক্যামেরা, নির্মাতা বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এডসেন্সে সাধারনভাবে মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার সাইটেও সেসম্পর্কিত তথ্য রাখুন।
৪. বিনে টাকায় শুরু করার জন্য গুগলের ব্লগার অবশ্যই ভাল যায়গা। আপনার কোন খরচই নেই। তাহলেও দীর্ঘ্যস্থায়ী সাইটের জন্য নিজস্ব ডোমেইন নেম, নিজস্ব হোষ্ট থাকাই ভাল। সেক্ষেত্রে ব্লগার ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্লগার সহজ, কিন্তু ব্লগারের তুলনায় এগুলিতে কাষ্টমাইজ করার সুবিধে অনেক বেশি।
জানার জন্য এটুকু উল্লেখ করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরী করতে খরচ নেই কিন্তু সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় না। আর জুমলায় ফ্রি হোষ্টিং এর ব্যবস্থা নেই। ব্লাগার ছাড়াও আরো কিছু সাইট ফ্রি হোষ্টিং এর সুবিধে দেয়। এদের মধ্যে Tumblr এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
৫. সাধারনত বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিক্রির জন্য (পন্য অথবা সেবা)। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেন এর সম্ভাবনা বেশি। অথচ বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার ব্যবস্থা নেই। অন্যভাবে বললে, বাংলাদেশ থেকে কেউ কিছু কেনার জন্য সাধারনত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে না। কাজেই বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী করলে এমনিতেই ক্লিকের সম্ভাবনা কমে যায়। যদি সম্ভব হয় সারা বিশ্বের জন্য ইংরেজিতে ওয়েবসাইট তৈরী করুন।

নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, নিজের খরচ চলার মত আয় পেতে কতটা সময় লাগতে পারে ?
খুবই গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন। এতে এমন জাদুকরী কিছু নেই যে রাতারাতি আপনি হাজার ডলার আয় করবেন। হাজার ডলার আয়ের জন্য অন্তত দুতিন বছর ক্রমাগত চেষ্টা করে ওয়েবসাইট উন্নত করার চেষ্টা করতে হতে পারে। এটুকু বলা যায়, একসময় ফল পাওয়া যাবেই। কাজেই দেরী না করে শুরু করাই উত্তম। এখনও যাকিছু শিখতে বাকি আছে সেগুলি ক্রমে শিখে নেয়া যাবে।
উন্নতমানের ওয়েবসাইট তৈরী, ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়ানো, সার্চ ইঞ্জিন যেন সহজে খুজে পায় সে ব্যবস্থা করা (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও), এডসেন্স বাছাই করা, নির্দিষ্ট এডসেন্স ব্লক করা, এডসেন্স ছাড়াও আয়ের অন্যান্য পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে আগামীতে লেখা হবে। 

***ফাইল আপলোড করে উপার্জন করুন

ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করতে চান ? খুব সহজে ?
করতে পারেন। ইন্টারনেটে ফাইল আপলোড করুন। যখনই কেউ সেই ফাইল ডাউনলোড করবে প্রতি ডাউনলোডের জন্য আপনি টাকা পাবেন। কি আপলোড করবেন তা নিয়েও ভাবার কিছু নেই। বিভিন্ন টরেন্ট সাইট, ইউটিউব যেখান থেকেই হোক না কেন, জনপ্রিয় ফাইল ডাউনলোড করে আপলোড করুন।
ফাইল শেয়ারিং ইন্টারনেটের জনপ্রিয় একটি ব্যবস্থা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ সফটঅয়্যার, গেম, ভিডিও, অডিও থেকে শুরু করে সব ধরনের ফাইল আদান-প্রদান করছে। যে সাইটগুলি এই কাজ পরিচালনা করে তারাও নিজেরা অর্থ বানাচ্ছে বিজ্ঞাপন সহ অন্যান্য পদ্ধতিতে। ধরে নিতে পারেন এটা তারই অংশ। যে সাইটে বেশি ডাউনলোডের জিনিষপত্র থাকে সেখানে ভিজিটর বেশি, কাজেই তারা একাজে কিছু অর্থ ব্যয় করে।
এজন্য আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ। 
বিনামুল্যে এই সেবা দেয় এমন একটি সাইটে গিয়ে রেজিষ্টার করুন। ফাইল আপলোড করুন। সাথেসাথে আয় আসতে শুরু করবে।
এধরনের একটি সাইট শেয়ারক্যাশ। এখানে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায়। আপলোড করা প্রতিটি ফাইলের সাইজ সর্ব্বোচ্চ ২০০ মেগাবাইট পর্যন্ত হতে পারবে।
ভিডিওসহ আরো বড় ফাইল আপলোডের জন্য বিকল্প পথ রয়েছে। পাশওয়ার্ডসহ জিপ করে ফাইলটি আপলোড করুন পাইরেট-বে কিংবা এধরনের সাইটে। পাশওয়ার্ডটি আপলোড করুন এদের কাছে। মুল ফাইলের সাথে টেক্সট ফাইলে লিখে দিন পাশওয়ার্ড কোথায় থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
কিছু নিয়ম অবশ্যই রয়েছে। কপিরাইট আইন ভঙ্গ করবেন না, পনোর্গ্রাফি আপলোড করবেন না ইত্যাদি।
শেয়ারক্যাশ আপনাকে টাকা দেবে প্রতি ডাউনলোডের জন্য ৩০ থেকে ৬০ সেন্ট। আমেরিকা, বৃটেন ইত্যাদি দেশের জন্য ৬০ সেন্ট, ছোট দেশের জন্য কম এই নিয়মে। প্রতি ১০০ ডাউনলোডের জন্য পাবেন ৩০ থেকে ৬০ ডলার, প্রতি হাজারে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার।
তারা টাকা দেবে চেক অথবা পে-পলের মাধ্যমে।
যদি এই পদ্ধতি সফল হয়, দ্রুতগতির কানেকশনসহ ডেডিকেটেড সার্ভার ভাড়া করে আয় করতে পারেন আরো অনেক বেশি।

শেয়ারক্যাশে রেজিষ্টার করতে হবে এখান থেকে
 ***ডাটা এন্ট্রি করে উপার্জন করুন
ডাটা এন্ট্রি করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার একটিমাত্র দক্ষতাই প্রয়োজন, দ্রুত এবং নিখুতভাবে টাইপ করতে জানা। কাজ পাওয়া যায় খুব সহজেই।
বিশ্বের বহু কোম্পানী রয়েছে যাদের লক্ষ লক্ষ ফরম পুরন করা প্রয়োজন, অথচ একাজের জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই। তারা দ্রুতই জেনে গেছে ইন্টারনেট এই কাজের জন্য উপযোগি মাধ্যম। খুব সহজে ব্যক্তি বা প্রতিস্ঠানের কাছ থেকে এই কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে ফরমগুলি পুরন করতে হয় সেগুলি ছোট। প্রতি ফরমের জন্য ৩০ থেকে ৫০ ডলার পাওয়া যায়। দিনে ৩০০ থেকে ২০০০ আয় করা অসম্ভব না। শুনে অবাক হতে পারেন, এই কাজ করে মাসে ৪০ হাজার ডলার আয় করার উদাহরন রয়েছে। অন্য কাজে জড়িত থাকলেও সপ্তাহে এক বা দুদিন একাজের জন্য বরাদ্দ রেখে অতিরিক্ত আয় করা যেতে পারে।
এজন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে কাজের মধ্যস্থতা করে এমন প্রতিস্ঠানের সাথে। আউটসোর্সিং এর জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে।
মাই-ডাটা টিম এজন্য একটি স্বীকৃত ওয়েবসাইট। এখানে যোগাযোগ করতে পারেন।

এখানে সদস্য হওয়ার জন্য কিংবা কাজ পাওয়ার জন্য কোন ফি দিতে হয় না। ১৭ হাজারের বেশি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। তাদের দাবী, তাদের কাছেও তারা টাকা নেয় না।
কাজ শুরুর জন্য প্রথমে তারা আপনাকে কিছু ডাটা দেবে এন্ট্রি করে নির্দিস্ট যায়গায় পাঠানোর জন্য। তাদের কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সেগুলি ঠিকভাবে এন্ট্রি করাই যথেষ্ট।
এছাড়া আপনার টাকা পাওয়ার জন্য পে-লিংক একাউন্টে নাম লেখাতে হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী তারা আপনার নামে চেক অথবা অন্য মাধ্যমে টাকা পাঠাবে।
এছাড়া কাজ করার জন্য সব ধরনের পরামর্শ থেকে শুরু করে ই-মেইল সাপোর্ট সবকিছুই পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে। 
স্বল্পকালীন কাজ
ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক এর মত ক্রাউড সোর্সিং ওয়েবসাইটের সদস্য হতে  পারেন। সেখানে প্রতিনিয়ত নানাধরনের কাজ জমা হয়। পার্টটাইম, ফুলটাইম সবধরনের ডাটাএন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় সেখানে।  কাজের ধরন, সংক্ষিপ্ত বর্ননা, আনুমানিক পেমেন্ট ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। পছন্দমত কাজের লিংকে ক্লিক করে কত টাকায় করতে চান জানালে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এই সাইটেই কিছু কাজের নমুনা রয়েছে। সেখানে কাজের নিয়ম হল প্রথমে সদস্য হতে হয়। সদস্য হওয়া বা কাজ পাওয়া, করা কোনটিতেই খরচ নেই, তারা আয় থেকে কিছু কমিশন (১০%) রেখে দেয়। বড় ধরনের কাজ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি মিলেও করতে পারেন। বাংলাদেশে এধরনের দল গড়ে কাজ করার উদাহরন রয়েছে। 
ডাটা এন্ট্রির মত একই ধরনের অন্যান্য কাজও পাবেন এধরনের সাইটে। সদস্য হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন নিজস্ব ইমেইল এড্রেস। সদস্য হবেন এখান থেকে www.freelancer.com
অথবা আগে সদস্য হলে সরাসরি এই সাইট থেকেই কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। দেরী না করে কাজ শুরু করুন।
***

গুগল এডসেন্স এর অজানা তথ্য - ১

গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে বছরে ১ লক্ষ ডলারের বেশি আয় করেছে অমুক ব্যক্তি, এধরনের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার ডলার আয় করার ব্যক্তির উদাহরন খুব কম নেই। এই কথাগুলি এমন ধারনা তৈরী করে যাথেকে অনেকেই মনে করেন, একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরী করে সেখানে এডসেন্স যোগ করলেই হাজার হাজার ডলার আসতে শুরু করে।
এভাবে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ আয় করা যায় একথা যেমন ঠিক তেমনি এখানে কিছু ভূল ব্যাখ্যার সুযোগ রয়েছে এটাও ঠিক। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই এডসেন্স ব্যবহার করে আয় করতে চান তাহলে আপনার সেগুলি জানা প্রয়োজন।
প্রথমেই জেনে রাখুন, কথাগুলি এভাবে বলা হয় কেন।
যদি বলা হয় আপনি দিনে ৫-৬ ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে আর্টিকেল লিখে যাবেন, মাসের পর মাস, এমন আর্টিকেল যা মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়বে, এজন্য আরো কয়েক ঘন্টা পড়াশোনা করবেন, আপনার সাইটে শতশত এধরনের আর্টিকেল জমা হবে, তারপর সেগুলি পড়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভীড় জমাবে, তারপর আপনি টাকা পাবেন তাহলে আপনার সেবিষয়ে খুব আগ্রহ থাকার কথা না। মানুষ বেশি পরিমান অর্থ পেতে চায় কাজ না করে। কাজেই বিষয়টি ঘুরিয়ে বলা, এডসেন্স ব্যবহার করুন, বিনা পরিশ্রমে, বিনা খরচে বহু টাকা পাবেন।
বিনা খরচে কথাটা কিছুটা ঠিক। বিনামুল্যে সাইট তৈরী উপকরন, বিনামুল্যে ওয়েব হোষ্টিং ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এডসেন্স বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্যও খরচ নেই। তাদের দেয়া কয়েক লাইন কোড আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করাই যথেষ্ট। আর অর্থ উপার্জনের জন্য আপনাকে পৃথকভাবে পরিশ্রম করতে হচ্ছে না একথাও ঠিক।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পরিশ্রম আপনাকে করতে হচ্ছে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য। আপনার সাইটে যদি দিনে কমপক্ষে ১০০ ইউনিক ভিজিটর না আসে তাহলে উল্লেখযোগ্য আয় হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা প্রতি ক্লিকের জন্য ১ সেন্ট বা ১০ ডলার (কখনো কখনো আরো বেশি) যা-ই দেয়ার কথা বলুক না কেন। ভিজিটর নেই কথার আরেক অর্থ আপনার কোন আয় নেই।
এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রথম শিক্ষা হতে পারে, বিনা পরিশ্রমে কিছু পাওয়া যায় না
এডসেন্স কিভাবে কাজ করে জানলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। গুগলের এডওয়ার্ডস নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। যারা গুগলের মাধ্যমে ইন্টারনেটে তাদের ব্যবসার প্রচার করতে চান তারা গুগলের সাথে যোগাযোগ করেন। এটাই এডওয়ার্ডস। গুগল সেই কাজ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিংক দেয়ার মাধ্যমে। এটা এডসেন্স। আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স ব্যবহার করলে আপনি বিজ্ঞাপন পাবেন, সেখানে কেউ ক্লিক করলে গুগল টাকা পাবে। সেই টাকার কিছু অংশ আপনাকে দেয়া হবে আপনার সাইট ব্যবহারের কারনে।  গুগল তাদের আয় থেকে কতভাগ দেয় সেটা একমাত্র গুগল নিজে জানে।
কাজেই, যদি এডসেন্স থেকে আয় করতে চান, নিজেকে বলুন, এটা আমার ব্যবসা। ব্যবসার জন্য যতটা পরিশ্রম করা প্রয়োজন করতে রাজি আছি
ব্যবসার মত ধৈয্য ধরে এতে মনোনিবেশ করতে হবে। সুবিধেজনক বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করতে হবে, মাসের পর মাস চেষ্টা করে তাকে উন্নত করতে হবে। সেখানে ভিজিটর আসার ব্যবস্থা করতে হবে। যত বেশি ভিজিটর আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি।
এডসেন্স সম্পর্কে যেভাবে বলা হয়, শুরু করলেই সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করবে, একথা ঠিক না।
কাজগুলি কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নিন।
.          মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করুন। গুগল আপনার সাইটের প্রতিটি টাইটেল, প্রতিটি আর্টিকেল বিশ্লেষন করে জেনে নেয় সেখানে কোন ধরনের ভিজিটর কত পরিমানে যায়। তা থেকে ঠিক করে সেখানে কোন বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। কাজেই সাইটের বিষয়কে উন্নত করুন। সার্চ তালিকায় আপনার সাইট যত ওপরের দিকে থাকবে আপনার আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি।
.          আপনার বিষয়ের সাথে মিল আছে এমন সাইট সম্পর্কে জানুন। আপনার সাইটের কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করে দেখুন কোন সাইটকে শুরুতে পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সেই সাইট সম্পর্কে একটি রিভিউ লিখতে পারেন, তার একটি লিংক রাখতে পারেন আপনার সাইটে। ফল হিসেবে তারাও আপনার সাইটে ভিজিটর পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
.          বিভিন্ন সাইট এবিষয়ে নানারকম পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং পরামর্শ দেয়।  যেমন http://www.selfpromotion.com/ এধরনের সাইট থেকে বিষয়গুলি শিখুন।
.           কিছু ওয়েবসাইট আপনার সাইট বা ব্লকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে। সেখানে আপনার সাইটের ঠিকানা এবং পরিচিতি লিখুন। http://www.technorati.com/ , http://www.blogrush.com/ , http://pingomatic.com/ ইত্যাদি এধরনের সাইট। এদের মাধ্যমে প্রচার বাড়ান।
.          আপনার সাইটের বিষয় নিয়ে কোন ফোরাম আছে কি-না সার্চ করে দেখুন। সেখানে নিজের লিংকসহ মন্তব্য লিখুন।
.          বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইট (ফেসবুক-টুইটার) এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়ান।

মোটকথা, আপনি এডসেন্স থেকে যথেস্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন যদি একে ব্যবসা হিসেবে দেখেন এবং সেভাবে কাজ করেন। একটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার দেয়া তথ্য ব্যবহার হতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কাজেই সাথেসাথে ফল পাবেন এটাও ধরে নেবেন না।

***গুগল এডসেন্স এর অজানা তথ্য - ২

আপনি আয় করতে চান গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে, আপনার কিছু সত্য জানা প্রয়োজন। একেবারে প্রথম কথা, একে অর্থ উপার্জনের সহজ পদ্ধতি ভাববেন না। অনেকে প্রচারনা থেকে ধরে নেন ব্লগারে একটা একাউন্ট খুললেই টাকা আসতে শুরু করবে। এটা ভুল ধারনা।
অন্যে এই পথে কত আয় করেছে সে উদাহরন দেখাবেন না। তারা আয় করেছে এটা হয়ত দেখেছেন, এর পেছনের শ্রম দেখেননি।
অমুকে অত টাকা আয় করেছে এই তথ্য দেখে সহজেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কেউ মানে ৫ হাজার ডলার আয় করছে, বিষয়টি এভাবে দেখুন, সেই ব্যক্তি এমন বিষয় নিয়ে ওঢেব সাইট তৈরী করেছে যে বিষয়ে সে প্রচুর জানে। সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সেখানে রয়েছে যা অন্যদের প্রয়োজন। সরাসরি ভিজিটর সেখানে যাচ্ছে, অন্যান্য সাইটগুলি ভালমানের সাইটের কারনে সেখানে লিংক তৈরী করছে ফলে ভিজিটর আরো বাড়ছে, সেকারনে এডসেন্স থেকে আয় ক্রমাগত বাড়ছে।
আপনার আয় নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর।
.          আপনি ইন্টারনেট মার্কেটিং বিষয়টি কতটা ভাল বোঝেন।
.          আপনার সাইটে কি পরিমান ভিজিটর আসে।
.          প্রতি ক্লিকে আপনি কত করে পান।
.          দিনে কত ঘন্টা সময় ব্যয় করছেন। আপনি বছরে লক্ষ ডলার আয় করবেন আর এজন্য দিনে একঘন্টা বরাদ্দ রাখবেন এটা বাস্তবসম্মত না।

কাজেই এডসেন্স থেকে দ্রুত টাকা আয় হবে এমন ধারনা থেকে শতর্ক থাকুন। বরং আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে,
.          এখনই শুরু করুন। কয়েকমাস কিংবা বছর পর সাফল্য পেতে শুরু করবেন।
.          শুরুতে এডসেন্স থেকে উপার্জন সামান্য মনে হতেই পারে। কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা লাভ করতে হয়। প্রতিদিনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করুন। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা, তাদের ধরন, উতস, তাদের ব্যবহার করা কি-ওয়ার্ড ইত্যাদি বিশ্লেষন করে আপনার সাইটে পরিবর্তন আনুন।
.          কি পরিমান সময় ব্যয় করা হচ্ছে এবং কি পরিমান অর্থ পাওয়া যাচ্ছে এই দুইয়ের হিসেব শুরুতেই মেলাবেন না। বর্তমানের সমস্ত কাজই ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ মনে করে কাজ করে গেলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। ভুলে যাবেন না বাস্তবে অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রে সবাই লাভের আশা করে শুরু করে, সবাই লাভ করে না।

আপনার সাইটের বিষয় কি এটা গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে ভিজিটর আসার ক্ষেত্রে। যেমন এই মুহুর্তে আপনি মনে করতে পারেন অনলাইনে অর্থ উপার্জন, ইন্টারনেট থেকে সহজে আয় করার পদ্ধতি, এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখলে আপনার সাইটে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে।
কথাটা কিছুটা ঠিক। এই কি-ওয়ার্ড লিখে একবার গুগল সার্চ করে দেখুন তো। ফল হিসেবে পাওয়া যাবে বহুকোটি সাইটের নাম। এদের সকলের সাথে আপনাকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হবে। এদের সবাইকে পেছনে ফেলে সার্চ রেজাল্টে প্রথম ১০ জনের মধ্যে আসা সত্যিকারের কঠিন কাজ।
এমন বিষয় বেছে নিন যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন, সেইসাথে লক্ষ্য রাখুন অন্যরা সেই সাইট থেকে উপকৃত হয়।

এই বিষয়ে অন্যান্য সাইটগুলি দেখুন। সেখানে যাকিছু ভাল সেটা অনুকরন করুন। সেই বিষয়কে ভালবাসুন।। আপনার সাইটে তার প্রতিফলন ঘটান। সেইসাথে বক্তব্যকে জোরালো করুন।
মোটকথা, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে বেশি পরিমান আয় করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে এমন বিষয় রাখার ব্যবস্থা করুন যে বিষয়গুলি আপনি সবচেয়ে ভাল জানেন।

***গুগল এডসেন্স এর অজানা তথ্য - ৩

ফ্রিহোষ্টিং বনাম পেইড হোষ্টিং
গুগলের বিনামুল্যের ব্লগ ব্যবস্থা ব্লগার (www.blogger.com) ব্যবহার করে নিজস্ব সাইট তৈরী করা খুব সহজ। ব্লগার ব্যবহারের জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু জানা প্রয়োজন হয় না, সহজেই এডসেন্স যোগ করা যায়। অন্যদিকে ওয়েবসাইট তৈরী জন্য রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস (wordpress) সহ নানাধরনের সফটঅয়্যার। এগুলির সাথে এডসেন্স ব্যবহারের জন্য নিজস্ব ডোমেন রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়, সার্ভার ভাড়া করতে হয়। প্রশ্ন করা স্বাভাবিক কোনটি পছন্দ করবেন।
নিজস্ব ডোমেন এবং হোষ্টিং এর খরচ যেমন রয়েছে তেমনি সুবিধে অনেক বেশি। এই সফটঅয়্যারগুলি ব্যবহার করে এমন অনেক কাজ করা যায় যা ব্লগারে করা যাবে না। যেমন আপনি যদি আপনার সাইটে একটি মেসেজ বোর্ড যোগ করতে চান, সেটা ব্লগারে করা যাবে না।
তারচেয়েও বড় কথা, ব্লগার বিনামুল্যের। তারা সবসময় আপনাকে সেবা দিয়েই যাবে এমন কথা নেই। যে কোন সময় আপনার সাইট মুছে দিতে পারে তারা। যেহেতু তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই সেহেতু আপনার বলার কিছু নেই।
কাজেই, এডসেন্স ব্যবহার করে (বা অন্য কোনভাবে) ওয়েব সাইট থেকে আয় করতে চাইলে তাকে ব্যবসা হিসেবে দেখুন এবং নিজস্ব ডোমেন-হোষ্টিং ব্যবহার করুন।
অবশ্যই আপনি ব্লগার দিয়ে শুরু করতে পারেন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য। পরে তাকে অন্য যায়গায় সরাতে পারেন।
হোষ্টিং সার্ভিস পছন্দের বিষয়টিও ঝুকিপুর্ন মনে হতে পারে। অনেক ছোট হোষ্টিং সার্ভিস নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে সরে গেছে এমন উদাহরন রয়েছে। কাজেই প্রতিস্ঠিত হোষ্টিং সার্ভিস এর জন্য যোগাযোগ করাই ভাল। সার্ভার কোন দেশে সেটা যেহেতু কোন বিষয় না সেহেতু বিশ্বের  যে কোন যায়গার সার্ভার ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্বের সেরা হোষ্টগুলির তথ্য পেতে পারেন ইন্টারনেটে সার্চ করেই।

ওয়েব সাইট কিভাবে তৈরী করবেন
আপনি মনে করতে পারেন কোনওয়েবসাইট ডিজাইনার দিয়ে আপনার সাইট তৈরী করিয়ে নেবেন, এরপর আপনি সেটা ব্যবহার করবেন। যদি আপনার সাইটে এমন কিছু ব্যবহার করেন যা করতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন তাহলে সেটা করতে পারেন। তারপরও, সেটা ব্যবহারের সময় আপডেট করতে হবে আপনার নিজেকেই। সেইসাথে সবকিছু দেখাশোনার দায়িত্বও আপনার। কাজেই আপনাকে কিছু শিখতেই হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস (Wordpress) কিংবা জুমলা (Joomla)  জাতিয় সিএমএস সফটঅয়্যার ব্যবহার খুব সহজ যদি তৈরী টেম্পলেট ব্যবহার করেন। কিছুটা এইচটিএমএল/সিএসএস (HTML/CSS) শিখেই আপনি টেম্পলেটের পরিবর্তন করে নিজের উপযোগি করে নিতে পারেন।
যদি একেবারে নিজের মত করে তৈরী করে নিতে হয় তাহলে আপনাকে কোন সফটঅয়্যারের ব্যবহার শিখতে হবে। এজন্য CoffeeCup কিংবা Dreamweaver তুলনামুলক সহজ এবং উপযোগি সফটঅয়্যার। Site Build it! নামের সফটঅয়্যারটিও দেখতে পারেন। এগুলি ছাড়াও সহজে ওয়েবসাইট তৈরী অসংখ্য সফটঅয়্যার রয়েছে।

এডসেন্স থেকে আয়
তাহলে! আপনি এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য সুবিধেজনক বিষয় ঠিক করেছেন, ওয়েবসাইট তৈরী করেছেন, ডোমেন রেজিষ্ট্রেশন করেছেন, তাকে সাভারে আপলোড করেছেন। এখন আয় করার জন্য আপনাকে গুগলের এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
এজন্য http://adsense.google.com সাইটে যান এবং তাদের ফরম পুরন করুন।

আগামী (শেষ) পর্বে এডসেন্স বিজ্ঞাপনের ধরন এবং তাদের সুবিধে-অসুবিধে সম্পর্কে লেখা হবে।

***এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন

গুগল এডসেন্স নিয়ে অন্যান্য লেখাগুলি থেকে নিশ্চয়ই ধারনা পেয়েছেন এটা থেকে কি করা সম্ভব, কিভাবে ভাল ফল পাওয়া যায়। এবারে বাস্তবে কিভাবে কাজটি করবেন জেনে নিন।
যে কোন ওয়েবসাইটের জন্যই এডসেন্স ব্যবহার করা যায়। এডসেন্স রেজিশ্ট্রেশনের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে www.google.com/adsense যান নিজের নাম-ঠিকানা-সাইটের পরিচিতি দিন। গুগলের সাধারন নিয়ম হচ্ছে আপনি কেবলমাত্র নিজের চালু সাইট ব্যবহার করবেন। নিজস্ব সাইট না থাকলে এডসেন্স রেজিষ্টার করার সুযোগ পাবেন না। ব্যক্তিগত অথবা প্রতিস্ঠান হিসেবে দুধরনের একাউন্ট তৈরীর ব্যবস্থা রয়েছে।
তাদের নিয়মের বাইরে কিছু ঘটলে তারা আপনাকে এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ নাও দিতে পারে। যদি কারন না জানা থাকে তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কারন জানতে পারেন।
যে বিষয়গুলি তারা সমর্থন করে না তার সংক্ষেপে এধরনের;
.          পর্নোগ্রাফি বা প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট ব্যবহার করা যাবে না।
.          অাক্রমনাত্মক, সহিংসতা ইত্যাদির প্রচার করা যাবে না।
.          কপিরাইট আইন ভংগ করে এমনকিছু রাখা যাবে না।
.          ক্লিক করার জন্য ভিজিটরকে অনুরোধ করা যাবে না।
.          মাদক, মদ, সিগারেট এধরনের কোনকিছুর প্রচারনা, বিক্রি করা যাবে না।
.          ভিজিটরদের বিরক্তি তৈরী করে এমন বক্তব্য প্রকাশ করা যাবে না।

নিজের নামে একাউন্ট তৈরীর পর এডসেন্স সন্ক্রান্ত যেকোন কাজের জন্য এই সাইট ব্যবহার করতে হবে। এডসেন্স লগ-ইন পেজে ইমেইল এড্রেস এবং পাশওয়ার্ড প্রয়োজন হবে। লগ-ইন করার পর আপনার একাউন্টের তথ্য থেকে শুরু করে এড সেটিং এর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।
যে কোন সময় কোন তথ্য জানা প্রয়োজন হলে হেল্প লিংকে ক্লিক করতে পারেন। নতুন ব্যবহারকারীকে একবারেই সবকিছু শিখে নিতে হবে এমন কথা নেই।

পছন্দমত এড লেআউট বাছাই
এডসেন্স এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাপ রয়েছে। ব্যানার, মিডিয়াম রেকট্যাঙ্গল, স্কাইস্ক্রাপার ইত্যাদি মাপের এডগুলি টেক্সটলিংক, ইমেজ কিংবা ভিডিও হতে পারে। ভিডিও লিংকের ক্ষেত্রে ভিডিওগুলি আপনার সাইটে জমা হবে না, ভিজিটর সেখানে ক্লিক করলে গুগলের সার্ভার থেকে প্লে হবে।
সাধারনভাবে টেক্সট এর ব্যবহার সবথেকে বেশি। এক ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে বেশি ক্লিক পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করতে পারেন এবং যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারেন। এড সেটিং ঠিক করার পর তার প্রিভিউ দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিজ্ঞাপনের জন্য পছন্দমত টেক্সট, রং ইত্যাদি পরিবর্তনের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার সাইটের সাথে মিল রেখে মানানসই রং ঠিক করুন।

সাইটে কোড যোগ করা
পছন্দমত পরিবর্তন করার পর Save and get code বাটনে ক্লিক করলে কয়েকলাইন কোড পাওয়া যাবে। এই এইচটিএমএল কোড কপি করে আপনার সাইটে ব্যবহার করতে হবে।

এড পারফরমেন্স পেজ
আপনার এডসেন্স বিজ্ঞাপনে কি পরিমান ক্লিক বা আয় হয়েছে জানার জন্য এই পেজ ব্যবহার করবেন। আপনি দিন-সপ্তাহ-মাস ইত্যাদি সময় হিসেবে রিপোর্ট পেতে পারেন। আপনার আয় কত, কোন সুত্রে সব তথ্যই জানা যাবে এখান থেকে।

টাকা পাওয়ার নিয়ম
আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হওয়ার পর গুগল আপনার নামে চেক লিখবে। শুরুতে ১০০ ডলার জমা হতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে। কাজেই কাজ শুরুর সাথেসাথেই আপনি টাকা পাবেন না। নিয়মিত টাকা জমা হতে থাকলে প্রতিমাসে আপনার নামে চেক পাঠানো হবে। সাধারন ডাক কিংবা কুরিয়ার মাধ্যমে চেক গ্রহন করতে পারেন। এছাড়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও অর্থগ্রহন করা যায়।
আপনার একাউন্ট সেটিং পেজে লগ-ইন, প্রাপকের নাম-ঠিকানা, প্রাপ্তির মাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ে পরিবর্তন করা যাবে।

ক্লিক সম্পর্কে সাবধানতা
লিংকে ক্লিক করলে টাকা আয় হবে একথা ভেবে যদি আপনি নিজেই সেই লিংকে ক্লিক করতে থাকেন তাহলে আপনার এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে। গুগলের ফলস-ক্লিক যাচাই করার ব্যবস্থা রয়েছে। নিজে কিংবা পরিচিতদের দিয়ে ক্লিক করাতে চেষ্টা করবেন না।

অনেকে বছরে লক্ষ ডলার আয়ের কথা বলেন। যদি সাইটে বিপুল পরিমান ভিজিটর যায়, বিপুল পরিমান ক্লিক হয় তাহলে সেটা সম্ভব। বাস্তবে ওধরনের সংখ্যার ওপর নির্ভর না করাই ভাল। এই পদ্ধতিতে যা আয় করা যায় সেটা যথেষ্ট, এটা মনে করাই নিরাপদ।

***অন্যের তৈরী সাইট থেকে উপার্জন

ওয়েবসাইট থেকে আয় আসে নানাভাবে। সরাসরি সেখানে কেউ বিজ্ঞাপন দিতে পারেন যা থেকে আপনি অর্থ পাবেন। অথবা এডসেন্স, পে-পার-ক্লিক থেকে শুরু করে যত ধরনের পদ্ধতি রয়েছে সবকিছু থেকেই আয় করা যায়। সেজন্য প্রয়োজন এমন ওয়েবসাইট যেখানে প্রচুর পরিমান ভিজিটর রয়েছে। ভিজিটর যত বেশি আয় তত বেশি।  আর এধরনের সাইট তৈরী করতে প্রয়োজন সময়, মেধা, শ্রম।
নিজে ওয়েবসাইট তৈরী করতে যে সময়, শ্রম প্রয়োজন সেটা না করে অন্য কেউ সময় এবং শ্রম ব্যয়ে যাকিছু করেছে সেখান থেকে আয় করতে চান ? সেটাও সম্ভব।
বিষয়টি খুব সহজ। অন্য কেউ এমন সাইট তৈরী করার পর যদি সেটা বিক্রি করতে চায় সেটা কিনে ফেলুন। অর্থাত আপনি অর্থের বিনিময়ে অন্যের শ্রম এবং সময় কিনছেন। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে করার কিছুই নেই, কার শ্রম এবং সময়কে অর্থে হিসেব করা যায়।
Adsense sites লিখে সার্চ করুন। ই-বে এজন্য খুব ভাল যায়গা। এমন সাইট পেতে পারেন যেখানে যথেস্ট ভিজিটর রয়েছে এবং সেখানে রীতিমত এডসেন্স থেকে আয় হচ্ছে। সাইট যত উন্নত তার দাম তত বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
অন্যের সাইট কিনলে আপনি যে সুবিধেগুলি পাবেন তা হচ্ছে, সাইট ডিজাইন তৈরীর জন্য ভাবতে হচ্ছে না। সেইসাথে সেখানে যাকিছু আপলোড করা হয়েছে সেগুলির মালিকানা হাতে পাওয়া।
আবার বিপরীত চিন্তাও করতে পারেন। আপনি যে সাইট তৈরী করেছেন, যেখানে হয়ত দুবছর পর সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সাইট বিক্রি করে একবারে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

***গুগল কাষ্টম সার্চ (এডসেন্স ফর সার্চ) থেকে আয় করুন

আপনার সাইটে গুগলের এডসেন্স বিজ্ঞাপন রেখে আয় করতে পারেন একথা এতটাই প্রচলিত যে অন্যান্য ব্যবস্থার বিষয়গুলি অনেকটাই আড়ালে থেকে যায়। আপনি আপনার সাইট থেকে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেও টাকা আয় করতে পারেন। আপনার সাইটে সার্চবক্স থাকবে, ভিজিটর যখন সেখানে কিছু লিখে সার্চ করবেন এবং সেই সার্চের ফল ব্যবহার করবেন তখনই আপনি টাকা পাবেন।
বিষয়টি আরেকটু ভালভাবে দেখা যাক। এর নাম গুগল কাষ্টম সার্চ (Google Custom Search)। এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে একটি সার্চবক্স যোগ করবেন। এমনকি আপনার যদি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ নাও থাকে তাহলে গুগলের সাইটেই সেটা রাখতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিনের একটি নাম দেবেন, যে বিষয়গুলি সার্চ করার সুযোগ দেবেন সেগুলি কিওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করাবেন। সার্চের ফল হিসেবে কি দেখা যাবে সেটা বলে দেবেন। আপনি যে বিষয়ে ভিজিটর পেতে আগ্রহি অবশ্যই সেধরনের বিষয় বেছে নেবেন।
এরসাথে এডসেন্স এর সাথে সংযুক্ত করলে (AdSense for search) যখনই ব্যবহারকারী সার্চ করে পাওয়া রেজাল্টের লিংকে ক্লিক করবেন তখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে টাকা যোগ হবে। আপনি যদি একাধিক কাষ্টম সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন তাদের প্রত্যেকের আয় যোগ হবে আপনার এডসেন্স একাউন্টে।
গুগল কাষ্টম সার্চের এডভান্সড অপশনের জন্য রয়েছে বিজনেস এডিশন। এখানে বিজ্ঞাপন ছাড়া রেজাল্ট দেখা, সার্চ রেজাল্টের এক্সএমএল ফিড, ইমেইল সাপোর্ট, গুগল চেকআউটের মাধ্যমে পেমেন্ট ইত্যাদি বাছাইয়ের সুযোগ রয়েছে।
গুগল কাষ্টম সার্চ রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আপনার গুগল ইমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। এরপর যা করতে হবে
.          তাদের সাইটে (http://www.google.com/coop/manage/cse/create/1 ) যান
.          আপনার সার্চ ইঞ্জিনের নাম, বর্ননা, ভাষা ইত্যাদি লিথে ফরম পুরন করুন।
.          What do you want to search? অপশনে Only sites I select সিলেক্ট করুন
.          Select some sites অংশে কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দিন
.          বিনামুল্যে ব্যবহারের জন্য free standard edition সিলেক্ট করুন। পরবর্তীতে যেকোন সময় বিজনেস এডিশন ব্যবহার করা যায়
.          Next বাটনে ক্লিক করে সার্চ ইঞ্জিন পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন।
.          আপনার নিজস্ব সাইটে এটা যোগ করার জন্য Get the Code ট্যাবে যান এবং সেখানকার কোড আপনার সাইটে ব্যবহার করুন
***গুগল এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম, যে ভুলগুলি করবেন না
এডসেন্স ব্যবহারে উতসাহ দেয়ার ক্ষেত্রে গুগল অগ্রনী ভুমিকা পালন করে। সেইসাথে নিয়ম মেনে সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না সেবিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। নিয়মের বাইরে কিছু দেখলে সেই একাউন্ট বাতিল করে দেয়। আপনার বহু দিনের পরিশ্রম মুহুর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে। যেকারনে তাদের নিয়মের তালিকাও বেশ দির্ঘ্য (www.google.com/adsense/terms ).
আপনি এডসেন্স ব্যবহারে আগ্রহী হলে যে নিয়মগুলি মানে হবে হবে এবং যে ভুলগুলি করা যাবে না সেগুলি সংক্ষেপে তুলে ধরা হচ্ছে এখানে;
.          একই ব্যক্তি বা প্রতিস্ঠান একাধিক এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে না। আপনার যদি একাধিক সাইট থাকে এবং সেগুলিতে এডসেন্স ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিন্ন নামের হতে হবে। নয়ত গুগল সবগুলি একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
.          এডসেন্স সম্পর্কিত গুগলের দেয়া কোডের কোনধরনের পরিবর্তন করা যাবে না। সামান্যতম পরিবর্তন করলেই সেই একাউন্ট বাতিল করা হবে।
.          কোন ওয়েবপেজে শুধুমাত্র এডসেন্স বিজ্ঞাপন, সার্চবক্স, রেফারেল বাটন এগুলি রাখা যাবে না। সেখানে অবশ্যই আপনার নিজস্ব কিছু থাকতে হবে।  
.          সাইট এখনও তৈরী হচ্ছে এমন সাইটে এডসেন্স ব্যবহার করা যাবে না। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য পেজ, চ্যাট এর পেজ ইত্যাদিতে এডসেন্স ব্যবহার করা যাবে না। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোনকিছু অথবা আপত্তিকর বা অবৈধ কিছু সাইটে থাকলে সেখানে এডসেন্স ব্যবহার করা যাবে না। এডসেন্স এমন পেজে থাকতে হবে যেখানে তথ্য রয়েছে।
.          সত্যিকার ভিজিটর ছাড়া অন্য কোনভাবে ক্লিক করার ব্যবস্থা করা যাবে না। ক্লিক করতে উতসাহ দিয়ে কোনধরনের বক্তব্য রাখা যাবে না।
.          এমন কিছু রাখা যাবে না যা দেখে এডসেন্স এড মনে হতে পারে।
.          এডসেন্স এর ঠিক পাশে তারসাথে সম্পর্ক আছে এমন ছবি রাখা যাবে না।
.          গুগল সার্চ বক্স ব্যবহার করলে অন্য কোন সার্চ সার্ভিস রাখা যাবে না।
.          এক সাইট থেকে আরেক সাইটে ভিজিটর পাঠানোর জন্য এড লিংক এবং এড সাইট এর মধ্যে কিছু রাখা যাবে না।
.          এডসেন্সের কোন বিজ্ঞাপনদাতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে না।
.          এড ইউনিটে এডগুলি যেভাবে সাজানো থাকে তার পরিবর্তন করা যাবে না।
.          কোথায় ক্লিক করার জন্য কত আয় হবে সেটা জানার চেষ্টা করবেন না। তবে গুগল থেকে আপনার মোট আয় কত সেটা জানতে পারেন।

এই নিয়মগুলি বোঝা সহজ। এর বাইরেও ব্যবহারকারীরা ভুল করেন এবং সেজন্য মাশুল দিতে হয়। কখনো কখনো গুগল আপনাকে সাথেসাথে জানাবে, কখনো না জানিয়ে একাউন্ট বাতিল করে দেবে অথবা অন্যভাবে আপনার সাইটকে কালো তালিকাভুক্ত করবে।
.          গুগলের সেবার নিয়ম সম্পর্কে না জানা
আজ যে নিয়ম চাল রয়েছে আগামীকাল সেটা পরিবর্তন হতে পারে। কাজেই নিয়মিতভাবে তাদের নিয়মগুলি পড়ে দেখুন, এডসেন্স ফোরামের বক্তব্যগুলি দেখুন।
.           অন্যদের ক্লিক করতে উতসাহ দেয়া
ক্লিক করলে টাকা আয় হবে একথা ভেবে অন্যদের ক্লিক করানোর জন্য বলতে পারেন। গুগল এটা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়।
.          ভুল ধরনের বিজ্ঞাপন বাছাই করা
যে কোন ধরনের এড ব্লক যে কোন যায়গায় রাখা যায়। বেশি ক্লিক পাওয়ার জন্য ঠিক যায়গায় ঠিক ধরনের এড ব্লক ব্যবহার করা উচিত। বিভিন্ন উচুমানের সাইট দেখে এবিষয়ে ধারনা পেতে পারেন।
.          ভুল রং ব্যবহার করা
বিজ্ঞাপনকে ভালভাবে দেখানের জন্য অনেকে চোখে পড়ার মত উজ্জল রং ব্যবহার করেন। সত্যিকারের ভাল এডসেন্সের জন্য এডের ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার সাইটের ব্যাকগ্রাউন্ডের মত একই রাখুন, সাইটের মত একই ফন্ট ব্যবহার করুন।
.          ভুল যায়গায় বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা
যে কোন সাইটেই ভিজিটররা বিশেষ কিছু পেজে বেশি আকৃষ্ট হন। বিজ্ঞাপন সেখানে ব্যবহার করুন, যেখানে ভাল মানায় সেখানে ব্যবহার করবেন না।
.          এডলিংক ইউনিট ব্যবহার না করা
নতুন ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র এডসেন্স ব্যবহার করেই সন্তুষ্ট থাকেন। এরসাথে এডলিংক ব্যবহার করলে আয়ের ক্ষেত্রে অনেক ভাল ফল পাওয়া যায়।
.          ষ্ট্যাট এর দিকে দৃষ্টি না দেয়া।
আপনার সাইটে ভিজিটরের সংখ্যা, তাদের আগ্রহের বিষয়, ব্যবহারের ধরন ইত্যাদির দিকে দৃষ্টি রাখুন। গুগল এনালাইটিক ব্যবহার করুন।
.          এডসেন্স এর চ্যানেল ব্যবহার না করা। অনেকে চ্যানেল ব্যবহার করতে বিরক্তি বোধ করেন, কিন্তু এর ব্যবহার সহজ।
.          সব তথ্য লিখে না রাখা
এডসেন্সের কোথায় কি পরিবর্তন করেছেন, কি ফল হয়েছে এসবকিছু লিখে রাখুন। খুব সহজেই ভাল এবং মন্দের পার্থক্য চিনে ভুল সংশোধন করা যাবে।  
.          রাতারাতি বিশাল ওয়েবসাইট তৈরী
এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য আপনি এখান থেকে ওখান থেকে তথ্য বা উপাদান নিয়ে দ্রুত বিশাল সাইট তৈরী করতে পারেন। গুগলের স্মার্ট প্রাইসিং এধরনের সাইটে দামী বিজ্ঞাপন দেয় না। ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে ভাল সাইট তৈরী করুন।
.          ছোট সাইট তৈরী করা
আপনার সাইটকে যতটা সম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ এবং বড় করতে চেষ্টা করুন। ভিজিটর যত বেশি আকৃষ্ট হবে এডসেন্স থেকে আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি।
.          এডসেন্স নিয়ে অর্ধেক কাজ করা
একটি সাইট তৈরী করা, সেকানে এডসেন্স যোগ করা এবং চেকের জন্য অপেক্ষা করা, এটা এডসেন্সের অর্ধেক কাজ। আপনি আশা করছেন এথেকে আপনি এমন আয় করবেন যা অন্যেরা সারাদিন পরিশ্রম করেও আয় করে না। আপনাকে এখানেও যথেষ্ট সময় নিয়ে, যাকিছু করা সম্ভব সবই করতে হবে।
.          শুধুমাত্র এডসেন্স এর ওপর নির্ভর করা
এডসেন্স থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব, কিন্তু গুগল যদি কোন কারনে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে তাহলে কি হবে ? কাজেই শুধুমাত্র এডসেন্স এর ওপর নির্ভর করবেন না। এফিলিয়েটেড মার্কেটিং, অনলাইনে বিক্রি ইত্যাদি অন্যান্য যাকিছু করা সম্ভব সেগুলি যোগ করুন।

***এডসেন্স এর বিকল্প বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা চিতিকা

আপনার মনে যদি থাকে গুগলের লাভজনক ব্যবসা এডসেন্স এর মত অন্য কেউ ব্যবসা করছে না কেন তাহলে উত্তর, করছে। চিতিকা গুগলের এডসেন্সর মত আরেকটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। আপনি তাদের সদস্য হয়ে আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারেন। কোন ব্যবহারকারী সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি পেইড পার ক্লিক (PPC) পদ্ধতিতে টাকা পাবেন।
চিতিকা মুলত আমেরিকা, বৃটেন, কানাডা ইত্যাদি দেশের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে। কাজেই তাদের টার্গেট করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করলে আয় বেশি। অন্যভাবে, এইসব দেশের ভিজিটর যত বেশি আপনার আয় তত বেশি।
জিতিকায় দুধরনের একাউন্ট খোলা যায়। সিলভার এবং গোল্ড। আপনার সাইটে আমেরিকান ভিজিটরের সংখ্যা যদি দৈনিক ৫ হাজার হয় তাহলে আপনি গোল্ড মেম্বারশীপ পাবেন। নইলে সিলভার মেম্বারশীপ।  গোল্ড মেম্বারশীপের সুযোগ পেলে আপনি আপনার সাইটের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন পাবেন। সেইসাথে বেশি CTR, ফলে ক্লিক প্রতি আয় বেশি। অন্যদিকে সিলভার মেম্বারশীপে পাবেন সাধারন বিজ্ঞাপন লিংক।
চিতিকার বেশকিছু অন্যান্য সুবিধেও রয়েছে। তাদের সদস্য হওয়া এডসেন্স থেকে সহজ। তাদের সাইটে গিয়ে নিজের নাম-পরিচয় এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে এপ্লাই করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর পাবেন। অন্যান্য সুবিধের মধ্যে রয়েছে এডসেন্স এবং চিতিকা দুটিই এক ওয়েবসাইটে ব্যবহারের সুযোগ। তারা টাকা দেয় পে-পল অথবা চেক এর মাধ্যমে।
কাজেই এডসেন্স ব্যবহার করুন বা নাই করুন, চিতিকা ব্যবহার করতে কোন বাধা নেই।
তাদের ঠিকানা www.chitika.com 

4 মন্তব্য(গুলি):

  1. http://www.my-data-team.com/ ভাই আমি এই সাইটে এ্যাকাউন্ট খুলতে পারছি না, দয়া করে সমাধান দিবেন।

    উত্তরমুছুন
  2. শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,

    আমি হেমা ইন্সটাফরেক্স পার্টনার ম্যানেজার।

    আমরা আপনাকে প্রস্তাব জানাতে চাই ইন্সটাফরেক্স পার্টনার প্রোগ্রামে যেখানে আপনি কমিশন পাবেন আপনার প্রতিটা গ্রাহক থেকে। গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত কমিশন আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হয়ে যাবে যেটা আপনি সহজেই উত্তোলন করতে পাড়বেন। এর জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট বা ট্রেড করতে হবে না ।

    আপনি যদি আগ্রহী হন অথবা যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিঃসংকোচে আমার সাথে যোগাযোগ করুন, আমরা কৃতার্থ হব আমাদের পরস্পরের লাভ সম্পর্কে আলোচনা করতে । আমাদের এই প্রস্তাব সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

    ধন্যবাদ। অপেক্ষা করছি আপনার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে।

    উত্তরমুছুন